রূপসায় বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার ও বোমা ফাটানোর ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

মোঃ মোশারেফ হোসেন (খুলনা) :
রূপসায় থানা পুলিশ গত ৫ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১০টা ৩০মিনিটের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে নৈহাটি ইউনিয়নের আমদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে যুব জাগরণী সংঘ এর পিছনে ফাঁকা জায়গায় ৫০-৬০ জন দুষ্কৃতকারীরা বোমা ফাটাইয়া ও তাহাদের হেফাজতে বিস্ফোরক দ্রব্য বোমা রাখিয়া জীবন ও সম্পত্তির সাধন করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করিতেছে।
থানার এস আই কামরুজ্জামান বিষয়টি জানতে পেরে থানা অফিসার ইনচার্জ সরদার মোশাররফ হোসেনকে কে অবহিত করিয়া আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সঙ্গী ও অফিসার নিয়ে রাত সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় উক্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অবস্থানরত দুষ্কৃতিকারী গন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
এসময় পুলিশ বাদশা জমাদার (৪৮) মো: রিপন আকন (৪৩) সৈয়দ আবু হানিফ সোহাগ (৩৪)মোঃ শহিদুল ইসলাম (৫২) এস এম কামাল উদ্দিন (৪৮) জাহাঙ্গীর হালদার (৫১)ও ইমরান মীরকে আটক করে এবং এজাহার নামীয় ৫০-৬০জন দুস্কৃতিকারী পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামি বাদশা জমাদ্দারের ডান হাতে থাকা মাঝারি সাইজের একটি প্লাস্টিকের বাজার করা ব্যাগের মধ্যে হতে ৫টি বোমা সাদৃশ্য বস্তু যাহা প্রত্যেকটি লাল টেপ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় এবং ঘটনাস্থল হইতে বোমা বিস্ফোরিত দুইটি টিনের কৌটার অংশ বিশেষ উদ্বার করে।
এছাড়া আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে তারা ও এজাহার নামীয় পলাতক আসামিরা এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা সকলেই একে অপরের যোগ সাজোসে ও সহায়তায় দুটি বোমা ফাটাইয়া এবং উক্ত ব্যাগে পাঁচটি বোমা অন্তঘার্তি কার্য করিবার উদ্দেশ্যে এবংঅন্যের জীবন
ও সম্পত্তি ক্ষতি সাধনের জন্য
একে অপরের সহায়তায় নিজেদের হেফাজতে রাখিয়াছে। আসামিরা অন্যের জিবন ও সম্পত্তির ক্ষতি সাধনের জন্য একে অপরের সহায়তা নিজেদের হেফাজতে রাখিয়া ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে বোমা ফাটাইয়া ও বোমা সদৃশ্য বস্তু নিজ হেফাজতে রাখিয়া দি স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ১৯৭৪ এর ১৫ (৩)/২৫-D তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইনের ৩/৪(খ)/৫/৬ ধারার অপরাধ করিয়েছে।
এব্যাপারে এসআই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে রূপসা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। যার নং- ৬, তাং-৬/১২/২২।
এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন বাদশা জমাদ্দার, রিপন আকন,সৈয়দ আবু হানিফ সোহাগ, মোঃ শহিদুল ইসলাম, এস এম কামাল উদ্দিন,জাহাঙ্গীর হালদার,ইমরান আলী মীর, শাহাবুদ্দিন ইজারাদার, মাহমুদুল আলম লোটাস, মো: আতাউর রহমান রুনু, রাঙ্গু সোহেল, রুবেল মীর, ইউনুস আলী শেখ, মিজানুর রহমান, বাবুল শেখ, আকতার শেখ, মালেক শেখ, সাইফুল পাইক, কবির শেখ, শাহজালাল লস্কর, সহ অজ্ঞাত ৫০ ৬০ জন।
এ ব্যাপারে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, পুলিশের টহল গাড়ি গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরে আমরা আমদাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পশ্চিম দক্ষিণ করে সেখানে উপস্থিত হই এবং সেখান থেকে বোমা সদৃশ্য পাঁচটি বস্তু উদ্ধার ও দুটি বোমা ফাটানো টিনের কৌটা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। এবং ২২ জনের নামে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।