রাজবাড়ী ছাত্রদলের আহ্বায়ক রোমানসহ ১৪ জনের নামে মামলা

খন্দকার রবিউল ইসলাম (রাজবাড়ী) :
রাজবাড়ীতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান, সদস্য সচিব শাহিনুর রহমান ও পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন সম্রাটসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন জানান, রবিবার বিকালে পুলিশী নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবেই আমরা ডিউটি করছিলাম।এর মধ্যে একটা পাটি এখান থেকে তাদের আনুষ্ঠানিকতা শেষে যাওয়ার পথে, তারা উশৃঙ্খল আচার আচরণ করে। এসময় আজাদি ময়দান এলাকায় ভিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য আহত হয় বলে দাবি করেন তিনি। এসময় হাতে তৈরী ৭টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।এই ঘটনার সাথে জাড়াই ছিল দুষ্কৃতিকারীরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত রবিবার রাতে রাজবাড়ী সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সেলিম হোসেন রকি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় ছাত্রদলের কর্মী মো. আক্তার হোসেন (২৮) ও শিপন শেখ (১৯) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
রাজবাড়ী জেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান জানান, কুমিল্লায়-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আমাদের এক ছাত্র নেতা মারা গেছে পুলিশের গুলিতে।আজকে আমাদের দেশ নায়ক তারেক রহমানের জন্মদিন ছিলো।তার জন্মদিন বাদেও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে একটি বিক্ষোভ মিছিল করার কথা ছিল।আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়।পুলিশের কথা মত আমরা সন্দুর ভাবে আমার পাটি অফিসে মিলাদে বসি।দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বসা অবস্থায় পুলিশ এসে আমাদের উঠিয়ে দিয়ে বের করার সময় আসমাদের এলাপাতারী লাঠি চার্জ করে।আমরা দিক বেদিক ছুটাছুটি করি।আমাদের ২০/২৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।এবং তিনি নিজেও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন এই ছাত্র নেতা।তিনি আরো বলেন, ককটেল ও পুলিশের উপড়ে হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, হামলা ও ককটেল এর বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না এবং এভিযোগ মিথ্যা।
এ ঘটনায় জেলা বিএনপির আহবায়ক লিয়াকত আলী বলেন, আমাদের দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে একটি মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।সেখানে জেলা বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিল। অনুষ্ঠান শেষে নেতাকর্মীরা বেরিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়।জানতে পেরেছি আমাদের দলের দুই জনকে পুলিশ আটক করেছে।ককটেল উদ্ধাররের বিষয়ে তিনি বলেন রাজবাড়ীতে বিএনপির ও ছাত্রদলের কোন নেতাকর্মীর নামে কোন অভিযোগে নেই।এটা পুলিশের সাজানো নাটক হতে পারে।তিনি আরো বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ ব্যাহত করতেই এই পরিকল্পনা। আমরা এসব জেনে বুঝেই রাজনীতি করি। আমাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে যে মামলা হয়েছে, সেগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই এই মামলার তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।