ভূমি দস্যুদের দৌরাত্ম : ধান রোপনে কুচক্রী মহলের বাঁধা , ক্ষতিগ্রস্থ নিরীহ জমির মালিক

ভূমি দস্যুদের দৌরাত্ম : ধান রোপনে কুচক্রী মহলের বাঁধা , ক্ষতিগ্রস্থ নিরীহ জমির মালিক


মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
জননিরাপত্তায় সরকার যখন একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে এরমধ্যেও দেশের কিছু স্থানে ভূমি দস্যুদের দৌরাত্ম কমানো যাচ্ছে না। মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ল্যাছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের লটাখোলা মৌজায় আবির্ভাব ঘটছে ভূমি দস্যুদের। জানা গেছে ইউনিয়নের জৈনদ্দীন বিশ্বাসের দুই ছেলে জালাল বিশ্বাস ও মাইনদ্দীন বিশ্বাস এবং তাদের সহযোগীরা ইদানীং যত্রতত্র জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে।
১৯৭২ সালের ভূমি আইনে নদীতে ভেঙ্গে গেলে জমির মালিক হবে সরকার আইন প্রনীত হলেও ১৯৯৪ সালের ভূমি আইনের ১৫নং ধারায় ৩০ বছরের মধ্যে জমি পুনরায় জেগে উঠলে মূল মালিক/রেকর্ডীয় মালিক/উত্তরাধীকারী ফেরত পাবেন বলে আইন প্রণীত হওয়ায় সরকার নদীতে ভেঙ্গে যাওয়ার পর যে ১ বছরের বন্দোবস্ত দিয়েছিল পরবর্তীতে উক্ত বন্দোবস্ত দেওয়া বন্ধ করে। কিন্তু ঐসকল ভূমি দস্যু দখলদার অনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য জমি খাস দাবী করে রেকর্ডীয় মালিকদের চাষাবাদে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।
ইতিমধ্যে লটাখোলা ৭৮ মৌজার এস,এ রেকর্ডীয় মালিক জমির মোল্লার উত্তরাধীকারীর জমি (দাগ নং ৯৩৮ মৌজা লটাখোলা) চাষাবাদ ও ইরি ধান রোপনকালে তাদের অনৈতিকভাবে বাধা প্রদান করে জালাল, মাইনদ্দীন বিশ্বাস ও তাদের সহযোগীরা। জমির রেকর্ডীয় ওয়ারিশগন এবিষয়ে হরিরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানা কর্তৃক উক্ত ভূমি দস্যু ও দখলদারদেরকে নিষেধ করার পরও ফসল রোপনে তারা বাঁধা প্রদান করেই চলছে এমনকি উক্ত জমি তারা দখলের নেয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন নির্দেশ দিয়েছেন এক খন্ডও জমি অনাবাদী না রাখতে তখন এসব ভূমি দস্যুদের অবৈধ বাধায় উক্ত ৩১ শতাংশ ইরি ধানের জমিতে ফসল সৃজন করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পরিবারটি। ভূমি দস্যুতা দমন, দখলের পায়তাঁরা, ফসল সৃজনে বাঁধা দেওয়ার মাধ্যমে মূল মালিকদেরকে হয়রানি বন্ধ করা ও ক্ষতিপূরন আদায়ের ব্যবস্থা করা প্রশাসনের আশু দায়িত্ব হয়ে পড়েছে বলে মনে করে এলাকাবাসী। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে পরবর্তীতে অন্যরাও ক্ষতিগ্রস্থ হবে, এতে জননিরাপত্তা বিঘ্ন হবার আশংকা রয়েছে। এমনকি ভূমি দস্যুতাও বৃদ্ধি পাবে বলে সচেতন মহল মনে করেন।

Share This Post