পঞ্চগড়ে পৌর এলাকায় ময়লার দূর্গন্ধ সহ্য করতে হচ্ছে দিনের পর দিন!

পঞ্চগড় (সাব্বির হোসেন) :
পঞ্চগড়ে পৌর এলাকার বাসিন্দাদের দৈনন্দিন আবর্জনা গাড়ীতে করে দিনের পর দিন ময়লা ফেলে খালটি ভরাট হয়ে গেছে। সেই বর্জ্যের দূর্গন্ধযুক্ত পানি নেমে এসেছে সড়কে। এতে করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের,ছাত্রছাত্রী পথচারী ও পরিবহনযাত্রীরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এটি পঞ্চগড় শহর থেকে দুই কিলেমিটার দুরে তালমা এলাকায়। কয়েকটি ইউনিয়নবাসীর শহরে প্রবেশের একমাত্র সড়ক এটি।যদিও স্যানিটারী ল্যান্ডফিল্ড ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে কয়েক বছর আগে,তবে এখন পর্যন্ত সেই প্রকল্পটি কোন কাজে লাগাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,তালমা এলাকায় সড়কের পাশেই একটি খালে এসব আবর্জনায় ফেলে স্তুপ করে রাখা হয়েছে।বৃষ্টি হলেই ময়লার পানি চুয়ে আসে সড়কে, রোদ হলেই বর্জ্য বাতাসে উড়ে যায় এদিক সেদিক।জেলাশহরে আসতে ৩-৪ টি ইউনিয়নের সকলকেই
ময়লার দূর্গন্ধ সহ্য করতে হচ্ছে দিনের পর দিন।শুধু তাই নয় পাশেই রয়েছে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।এতে স্কুলে আসা ছাত্রছাত্রীরাও অতিষ্ট।স্থানীয়রা সমস্যা সমাধানের দাবী জানিয়েছেন পৌরকর্তৃপক্ষের কাছে। পথচারী মতিয়ার রহমান জানান,দূর্গন্ধ যুক্ত পচা ময়লা আবর্জনা দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় নষ্ট হচ্ছে এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ। পচা ময়লা আবর্জনা থেকে সৃষ্ট দূর্গন্ধ বাতাসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন এলাকায়। হচ্ছে রোগব্যাধি।
সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী জান্নাতুন জানান,স্কুলে যাওয়া আসায় প্রতিদিন নাক মুখ চেপে ধরে বর্জ্যের স্তুপ পার হতে হয়। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, শুধু ঘুমের সময় ছাড়া এই দুর্গন্ধ থেকে কোনোভাবেই মুক্তি মেলেনা তাদের।ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্য এ স্থান থেকে সরিয়ে ফেলা না হলে এলাকার মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়বে। পৌর মেয়র মোছা: জাকিয়া খাতুন জানান,মানুষের দূর্ভোগ এড়াতে স্যানিটারী ল্যান্ডফিল্ড ও পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য প্লান নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।পরিবেশঅধিদপ্তরেরঅনুমোদন পেলে আমরা কাজ শুরু করব।