গাছ প্রেমিক নিরঞ্জন,গড়েছেন ২০ একরের বাগান

গাছ প্রেমিক নিরঞ্জন,গড়েছেন  ২০ একরের বাগান


মোঃ লিহাজ উদ্দিন (পঞ্চগড়) : মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন নিরঞ্জন রায়। কর্মব্যস্ততার মধ্যেও তার ব্যাপক টান ছিলো গাছ-গাছালির প্রতি। সেই টান থেকেই গড়ে তুলেছেন তিনি গাছ-গাছালির এক সাম্রাজ্য। এখন চাকরি থেকে অবসরে থাকলেও তার সময় কাটে এই বাগান ঘিরে। নিরঞ্জন রায়ের বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ সন্যাসীর ধ্যানমৌন এলাকায়। তিনি কালিগঞ্জ সুকাতু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
সম্প্রতি তার প্রধানাবাদ এলাকার এই বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ২০ একর জায়গা জুড়ে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের সমন্বয়ে গড়া এক বিশাল বাগান। বাগানে রয়েছে- আম, লিচু, পেঁয়ারা, মাল্টা, লটকন, সুপারি, আমড়া, আমলকি, বেল, জামরুল, লেবু তেজপাতাসহ নানা প্রজাতির গাছ। প্রায় ৫ হাজার গাছ সমৃদ্ধি এই বাগান যেন পাখিদেরও এক অভয়ারণ্য। সন্ধার আগ মুহূর্তে পাখিদের কলতান মুগ্ধ করে যে কাউকে। এছাড়াও গরু পালন করেন অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষক। গরুর গোবর দিয়ে উৎপান করেন ভার্মি কম্পোষ্ট তথা কেঁচো সার। তার ছেলে অরুন রায় জানান, আমি ছোট থেকে দেখি আমার বাবা এই বাগানে সব সময় থাকে আর এই বাগানের আয় থেকে আমাকে পড়াশোনা করিয়েছে।
নিরঞ্জন রায় জানান, সারা বছরেই বাগানে বিক্রি উপযোগী কিছু না কিছু থাকেই। বর্তমানে বাগানে থোকায় থোকায় মাল্টা ঝুলছে। অল্প কদিনের মধ্যেই বিক্রি শুরু হবে এসব।
তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালে চারা উৎপাদন এবং বিক্রির উদ্দেশ্যে নার্সারির মধ্য দিয়ে শুরু। সেই নার্সারি এখন রূপ নিয়েছে ২০ একর জায়গার এক বৃহৎ বাগানে। বর্তমান এই বাগানের বাৎসরিক আয় ২৮ থেকে ৩০ লাখ টাকা। সামনে বাগান নিয়ে বৃহৎ পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,,বলেন,এ ধরনের বৃক্ষ প্রেমিকদের উৎসাহ সহ সর্বাত্মক  সহযোগীতায় আমরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি ।
মোঃ লিহাজ উদ্দিন,
পঞ্চগড় প্রতিনিধি ।

Share This Post