আওয়ামী লীগ রিজার্ভের টাকা উন্নয়ন কাজে ব্যয় করছে আর বিএনপি আমলে হাওয়া ভবনের ইশারায় বিদেশে পাচার হয়ে যেত : গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী

গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন ২০০৬ সালে বিএনপি’র রেখে যাওয়া সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার রিজার্ভকে আওয়ামী লীগ সরকার ২০২২ এ এসে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে। রিজার্ভের টাকা আওয়ামী লীগ সরকার জনকল্যাণে অর্থাৎ দেশের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করছে। অন্যদিকে বিএনপি’র শাসনামলে বৈদেশিক মুদ্রা হাওয়া ভবনের ইশারায় বিদেশে পাচার হয়ে যেত।
শনিবার ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ৮নং কামারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদ আর দুই লক্ষ মা বোনের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতাকে সমুন্বত রাখতে, দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে, একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে এবং বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করতে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে, দেশের সকল সেক্টরে যখন অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে তখন স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী চক্র, বিএনপি জামাত প্রতিক্রিয়াশীল জোট দেশের এই অগ্রগতিকে নস্যাৎ করে দিতে বিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত।
বিএনপি’র সম্প্রতিক রাজনৈতিক কর্মকান্ডের উল্লেখ করে তিনি বলেন আত্মস্বীকৃত অপরাধী, আদালতের সাজাপ্রাপ্ত আসামী তারেক জিয়া লন্ডনে বসে এদেশের রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত করতে ব্যস্ত। আর এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে তার মা বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতার ভান করে সরকারের অনুকম্পায় কারাগার পরিহার করে বাড়িতে অবস্থান করে রাজনীতির ময়দানে চক্রান্তের নীল নকশা প্রণয়ন করছে। তাদের সেই চক্রান্ত বাস্তবায়নে মির্জা ফখরুল, রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপি নেতা কর্মীরা একাট্টা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে দলের শীর্ষ দুই নেতা আদালতের সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারা “গেটব্যাগ বাংলাদেশ” বলে স্লোগান দিচ্ছে। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশবাসী হাওয়া ভবনে কমিশন বাণিজ্য দেখেছে। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশবাসী বিদ্যুতের বদলে খাম্বা বাণিজ্য দেখেছে। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে সারের জন্য আন্দোলন করে কৃষককে জীবন দিতে হয়েছে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং জজ মিয়া নাটক মঞ্চস্থ হতে দেখেছে দেশবাসী । তারা দেশকে আবার অন্ধকারে ঠেলে দিতে চায়।
আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দলের নেতাকর্মীদের করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকার আবারো প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য আমাদের যার যার জায়গা থেকে সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দলের সিদ্ধান্তকে চুড়ান্ত বলে মেনে নিতে হবে। দলের চেইন অব কমান্ড বজায় রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানের কামারিয়া ইউনিয়ন, তারাকান্দা উপজেলা এবং ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।